জগন্নাথপুরে স্কুল শিক্ষার্থীকে বলৎকার এর অভিযোগে শায়েস্তা (৩২) নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এবং গ্রেপ্তারকৃত দুষ্কৃতকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ এর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
থানা, আদালত সুত্র ও মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা লিপন মিয়ার ছেলে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম (৯) বিগত ৬ই জুলাই দিবাগত রাতে স্থানীয় ইসলামপুর বাইতুল ইসলাম জামে মসজিদে পবিত্র আশুরার মিলাদ মাহফিল শেষে বাড়ী ফেরার পথে রাত প্রায় ৮ ঘটিকার সময় একই ইউনিয়ন এর সাচায়ানী গ্রাম নিবাসী হারিছ মিয়ার ছেলে শায়েস্তা মিয়া(৩২) বলাৎকার করে। এই ঘটনায় বলাৎকারের শিকার শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম এর পিতা লিপন মিয়া ৭ই জুলাই জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁঞার দিক নির্দেশনায় অত্র থানার এসআই মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ হাদী আব্দুল্লাহ সহ একদল একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত মোঃ শায়েস্তা মিয়া(৩৫) কে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেন। এবং যথাযথ পুলিশ স্কটের মাধ্যমে ৭ ই জুলাই সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁঞা গণমাধ্যমকে বলেন, স্কুল ছাত্রকে বলাৎকার এর অভিযোগে শায়েস্তা মিয়া (৩৫) নামক এক যুবককে গ্রেপ্তার করে ৭ ই জুলাই সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
এদিকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম(৯)কে বলাৎকারকারী বখাটে যুবক শায়েস্তা মিয়া(৩২)এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে ৮ ই জুলাই বেলা ১১ঘটিকার সময় উপজেলার এরালিয়া বাজার উচ্চ বিদয়ালয়ের সামনে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ এর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্কুল শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেছেন।