৩০ শে জুন সোমবার, দুপুর তিনটায়, ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং এর সামনে, ভারতীয় জনতা পার্টির আহবানে, কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের বিচারের দাবীতে ,মমতার পাপের ঘোড়ার প্রায়শ্চিত্ত করতে, তারা বিধানসভা অভিযান করতে গিয়ে গ্রেফতার হন।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখার, তমগ্ন ঘোষ, কালি খটিক, কুশল পান্ডে, নারায়ণ চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য নেতা ও সদস্যরা
প্রত্যেকের মাথায়, মাটির হাঁড়ি , যাহাতে লেখা মমতার পাপের হাঁড়ি, এবং তাহার পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন, এবং Rally করে ডরিনা ক্রসিং থেকে রানী রাসমণি দিকে যখন পৌঁছান, তার অনেক আগে থেকেই পুলিশ ব্যারিকেট করে রাখে, জনতা পার্টির সদস্যরা ব্যারিকেট ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করলে, এবং পুলিশের সাথে কথোপকথন চলার সময়, কয়েকজন মহিলা পুলিশ ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলা সদস্যদের গায়ে হাত দিলে উত্তেজনা ছড়ায়, এবং প্রশাসনের অফিসারেরা ও পুলিশ ফোর্স জোর করে তাদেরকে গ্রেফতার করে, তাহারা বারবার ঘোষনা করতে থাকেন , আপনারা শান্তিপূর্ণ মিছিলে অশান্তি ছড়াবেন না , আমরা প্রতিবাদ করছি, ন্যায্য বিচারের দাবিতে, দোষীদের শাস্তির দাবীতে, যারা দোষী তাদেরকে গ্রেফতার করুন, কেন প্রতিবাদীদের গ্রেপ্তার করছেন। আপনাদেরও বাড়িতে মেয়ে আছে, তাই এখন থেকে আপনারাও সচেতন হোন। আমাদের একটাই দাবী দোষীদের শাস্তি, না হয় মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ।
তাহারা বলেন পশ্চিমবঙ্গে উন্নতি নাই অথচ এরপর দিন একটার পর একটা ঘটনা এবং ধর্ষণ বেড়ে চলেছে , দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে না, ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়, তিনি একজন মেয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি মেয়েদের সুরক্ষা দিতে পারছেন না, এমনকি নিজের দলের লোক, ছাত্র পরিষদ নেতা, ধর্ষণ করছে, হুমকি দিচ্ছে, কলেজে দাদাগিরি দেখাচ্ছে, এইসব মস্তানি আছে কোথা থেকে,কাদের জোরে করছে, আর আমরা মেনে নেব না,
আর জি করের ঘটনা এক বছর পূর্ণ হতে না হতেই পুনরায় ঘটে গেল কসবার ঘটনা, অথচ পুলিশ মন্ত্রী চুপ করে বসে আছেন, সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আবার পথে নেমেছে, ন্যায্য বিচারের দাবি নিয়ে, আমরাও পথে নেমে লড়াই করছি।
পার্ক স্টীটের ঘটনা, কামদুনির ঘটনা, সন্দেশ খালির ঘটনা, হাঁসখালির ঘটনার পরে আর জি কর কান্ড এবং কসবার ঘটনা পুনরায় আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিল, মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়, পশ্চিমবঙ্গের কী হাল, বাড়ীর অভিভাবকরা কাদের ভরসায় স্কুল কলেজে মেয়েদের পাঠাবেন, যেখানে নিরাপত্তাই নাই,
অন্যদিকে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষায় কথা বলছেন, লজ্জা কর ব্যাপার, তার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই, এদিকে অনুব্রত মণ্ডল একটা অফিসারের পরিবারকে তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেয়, সেখানেও কোন প্রতিবাদ নাই, পশ্চিমবঙ্গের আইনি অবস্থা এইরকমই। তায় ভারতীয় জনতা পার্টি সদস্যরা সাংবাদিক দের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্র দুইজনেই একি কাঁটার, যারা শুধু মেয়েদের নিয়ে ঢলাঢলি ও প্রেম করে, আর কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, সারাদিনতো নেশায় বেহুঁশ, তাহাদের মুখেই তো এইরকম কথা মানায়।
আজ যাহারা প্রশাসনের দায়িত্বে আছেন, পাহারাও চুপ করে সহ্য করেন, প্রতিবাদ করতে পারেন না,
তাই আসুন আর না, সবাই একসাথে গর্জে উঠি, ন্যায়ের বিচার চাই, গুন্ডাবাহিনীর ও ধর্ষণকারীদের উচিত সাজা চাই। মহিলাদের সুরক্ষা চাই। উই ওয়ান্ট জাস্টিস চাই।