সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
১১ দিন ছুটি শেষে ঢাকা মুখী ফিরছেন নানা পেশাজীবির মানুষ শ্রীমঙ্গল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন খানকে রাজনগর থানার ওসি হিসেবে পদায়ন বগুড়ার সরঃ আজিজুল হক কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে আহ্বায়ক শাকিল, সিনিঃ যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব ও সদস্য সচিব আল আমিন কালিয়াকৈর বি এন পি কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দু গুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ২০ পূর্ব শত্রুতা ধরেই হত্যার চেষ্টা দুই বোনকে নড়াইলের নড়াগাতী থানার ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফতার বিগত সময়ের জনপ্রতিনিধিরা এখানে কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড করেননি-আখতারুল আলম ফারুক ছাতকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কে জমিয়তের সংবর্ধনা প্রদান ছাতকে সৈয়দ তিতুমীর ছিলেন বিএনপি’র এক উজ্জ্বল নক্ষত্র— সাবেক এমপি মিলন ছাতক থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার

ময়মনসিংহ মেডিকেল ঈদের ছুটিতে কেলেঙ্কারি ফাঁস ওয়ার্ডবয় আটক

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
  • আপডেটের সময়: সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫
  • ৪২ সময় দেখুন
ময়মনসিংহ মেডিকেল ঈদের ছুটিতে কেলেঙ্কারি ফাঁস ওয়ার্ডবয় আটক
ময়মনসিংহ মেডিকেল ঈদের ছুটিতে কেলেঙ্কারি ফাঁস ওয়ার্ডবয় আটক

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঈদের ছুটির দিন ঘটে যায় অবিশ্বাস্য এক ঘটনা, চিকিৎসক না থাকায় এক প্রতারক ওয়ার্ডবয়ের ছদ্মবেশে রোগীর হাতে সেলাই ও ড্রেসিং করেন, পরে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে, গাজীপুরের বাসিন্দা সোহেল মিয়া নামের এক আহত রোগীর আঙুলে সেলাই করতে গিয়ে ধরা পড়েন আলমগীর হোসেন নামের এই ব্যক্তি, তার পরনে ছিল সাধারণ ওয়ার্ডবয়ের পোশাক, হাতে ছিল না কোনো গ্লাভস, ঘটনার সময় হাসপাতালের জরুরি ইউনিটে কোনো চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না।

পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে প্রতারককে আটক করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করে, এ ঘটনায় ওয়ার্ড মাস্টার জীবন চন্দ্র বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত আলমগীরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ফিরোজ হোসেন জানান, আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে হাসপাতালের ড্রেসিংরুমে কাজ করে আসছিলেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাইনুদ্দীন খান জানান, কীভাবে ওই ব্যক্তি ওয়ার্ডবয়ের ছদ্মবেশে গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডে কাজ করছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনা হাসপাতালের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার চরম দুর্বলতা এবং ঈদের ছুটিতে জরুরি চিকিৎসাসেবা অনুপলব্ধতার একটি বড় উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © ২০২৫ হেমন্ত কাল
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD