মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা ও নিহত দুই মেয়ের মাকে কুপিয়ে মারাত্মক রকমের অপরাধে ঘাতক চাচা মাসুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
বুধবার (৪ জুন-২০২৫) বিকেলে উপজেলার আদমপুরের মধ্যভাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচা মাসুক মিয়া তার দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যা এবং ভাবিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখমের ঘটনায় নিহত শারমিন আক্তার শাম্মীর স্বামী শহিদ মিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনায় নিহতরা হলেন- কাঠালকান্দি গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার শাম্মী (২৭), তার ছোট বোন মাছুমা বেগম (২৫)। তাদের মা হাজেরা বেগমকেও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। আহত হাজেরা বেগমের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে কাঠালকান্দি গ্রামের আবু মিয়া ও তার ভাই মাসুক মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মাসুক মিয়া বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে হালচাষে বাধা দিলে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আবু মিয়ার স্ত্রী হাজেরা বেগম ও তার দুই মেয়ে শারমিন ও মাছুমা বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করলে, এলাকাবাসী ও প্রশাসনিক সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন ও মাছুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত মা হাজেরাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন,‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি মাসুক মিয়াকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আমার সিলেট কে জানান, ঘটনাটি খুবই নির্মম। আমরা হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এ ব্যাপারে অন্যান্য আসামিদের কেও খুব দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।